পলাশবাড়ীতে স্কুল ছাত্রীর গোসলের দৃশ্য লুকিয়ে দেখায় থানায় অভিযোগ

হামিদুল হক মন্ডল,গাইবান্ধা প্রতিনিধিঃ

গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে স্কুল ছাত্রীর গোসলের দৃশ্য লুকিয়ে অপর স্কুল ছাত্র দেখে ফেলায় বিষয়টি ওই ছাত্রীর চোখে পড়ায় ওই লম্পট ছাত্র ও তার অভিভাবকদের এহেন ন্যাক্কারজনক আচরণে নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে ওই ছাত্রী ও তার অভিভাবকদের মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এব্যাপারে থানায় অভিযোগ করেছে ভিকটিম ছাত্রীর ভাই।

ঘটনাটি ঘটেছে পলাশবাড়ী উপজেলার ৫নং মহদীপুর ইউনিয়ন চন্ডিপুর গ্রামে বৃহস্পতিবার দুপুরে। অভিযোগ ও সরেজমিনে প্রকাশ,ওই গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী মমিনুল ইসলামের দশম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী বৃহস্পতিবার ২২ এপ্রিল দুপুর আড়াইটার নিজ বাড়ির নল কুপে গোসল করতে ছিলো।

আর এ সময় প্রতিবেশী কামরুজ্জামানের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে ইমতিয়াজ আহমেদ শিশির ওই নল কুপের পাশে কলা গাছের পাতা দিয়ে নিজেকে আড়াল করার চেস্টা করে ওই ছাত্রীর গোসলের দৃশ্য লুকিয়ে অবলোকন করতে থাকে। বিষয়টি ওই ছাত্রীর নজরে আসলে সে চিৎকার করে উঠে। আর সুযোগ বুঝে লম্পট শিশির ভোঁ দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়।

ঘটনার পরপরই বিষয়টি ওই ছাত্রী ও তার ভাই নাফিস শিশির পরিবারকে বিষয়টি অবগত করে এ ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা আর যেনো না ঘটে বলে বাড়ি চলে আসে। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব শত্রুতার রেশ ধরে লম্পট শিশির, তার বাবা কামরুজ্জামান ও চাচা রুহুল আমিন ডিপটি এ ঘটনাটি মিথ্যা বলে ওই ছাত্রী, তার নবম শ্রেণি পড়ুয়া ছোট ভাই নাফিউল ইসলাম নাফিসকে তাদের বাড়ি এসে মারধর করে।

এসময় তাদের আত্মচিৎকার বৃদ্ধ দাদা নাতি নাতনী বাঁচাতে এগিয়ে এলে সংঘবদ্ধরা দাদা মহসিন (৬৫) কে মারধরে আহত করে। আহত ভিকটিম ছাত্রী পলাশবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ চিকিৎসা গ্রহণ করে। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ছাত্রী ভাই নাফিউল ইসলাম নাফিস ঘটনার দিনই পলাশবাড়ী থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।

তবে অভিযুক্তরা এ ঘটনা অস্বীকার করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহের চেস্টা করেছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা সহ মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।