দেবিদ্বারে ফতেহাবাদ সহ বিভিন্ন গ্রামের অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক:-

কুমিল্লা দেবিদ্বার উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ফসলী মাঠের মধ্যে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের মহোৎসব দিন দিন বেড়েই চলেছে। ড্রেজারে ফসলী মাঠের বালু মাটি পাচার করে দৈনিক মোটা অংকের কালো টাকার নেশায় জড়িয়ে পড়েছেন অনেকেই। স্থানীয় নেতাকর্মীদের ছত্রছায়ায় গ্রাম্য মাতুব্বররা ফসলী মাঠের মধ্যে অবৈধ ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রমরমা বালু মাটির ব্যবসা করে চলেছেন। এতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে উপজেলার আবাদী ফসলী মাঠ।

উপজেলা’র ৬নং ফতেহাবাদ ইউনিয়নের ফতেহাবাদ বাজারের দক্ষিণ পাশে কাজল মিয়া(৫৫) নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধ ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও উপজেলার বেশ কয়েকটি স্থানে কতিপয় প্রভাবশালী ও নেতাকর্মীদের নাম ব্যবহার করে বানিজ্যিক ভাবে চলছে বালু ব্যবসা। সেই সাথে কৃষি জমির পাশে বসত বাড়ি গুলোতে বসবাস করতে কস্ট সাধ্য হয়ে পরেছে বলেও অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।

সরজমিনে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, কাজল মিয়া সরকারি রাস্তা কেটে অবৈধ ড্রেজার এর পাইপ দিয়ে পুকুর ভরাট করছে, এ বিষয়টি ফতেহাবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা হান্নান সাহেব কে অবগত করলে তিনি বলেন আমি গতকাল লোক পাঠিয়ে অবৈধ ড্রেজার বন্ধ করার জন্য ড্রেজার মালিক কাজল মিয়া কে নির্দেশ দিয়েছিলাম, তিনি যেহেতু সরকারি রাস্তা কেটে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে পুকুর ভরাট করছে আমি তার বিরুদ্ধে দেবিদ্বার উপজেলা সহকারী কমিশার ভূমি মোঃ গিয়াস উদ্দিন স্যার কে অবগত করে অবৈধ ড্রেজার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

এলাকাবাসীর অভিযোগ প্রশাসনের কোন নজরদারী নেই এই বালু ব্যবসায়ীদের উপর, যে-ই আসে টাকা পেলে চলে যায় এবং ড্রেজার ব্যবসায়ীরা এইভাবে অবাদে বালু উত্তোলন করে আসছে। আমরা গরীব মানুষরা আর প্রতিবাদ করতে পারিনা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার অনেকেই বলেন, সরকার ড্রেজার দিয়ে মাটিকাটা অবৈধ ঘোষনা করার পরেও এসব বালু খেকুরা কিভাবে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে। আমরা চাই আমাদের বাড়ি ঘর ও ফসলি জমি যেনো ভাঙ্গনের কবলে না পরে। কিন্তু এইভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করার ফলে প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে আমাদের সব কিছু ভাঙ্গনের কবলে পরে। আমরা ঠিকমত বসবাস করতে পারিনা। এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকাবাসী।