
আছমা আক্তার আখি, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
বাঙ্গালীপনা মানেই তো পিঠা খাওয়া। পিঠা পছন্দ করবে না এমন বাঙ্গালী খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা ‘ তা বলা মুশকিল। শীত বাড়ার সাথে সাথে পিঠার বিক্রি বেড়েছে। পঞ্চগড়ের রেয়াজ ‘শীত আসতে না আসতেই পিঠার দোকান বসে শহরের বিভিন্ন জায়গায়। আমন ধান কাটার সাথে সাথে বাঙ্গালীর ঘরে ঘরে শুরু হয় নবান্নের উৎসব। যাদের ঘরে ধান নেই তারা ও বাজার থেকে চাল খরিদ করে বাসায় পিঠা তৈরী করে। তবে একটু শীত পড়লেই পঞ্চগড় শহরে পাবেন শীতের সব পিঠা। যেমন; ভাপা, নুনাস, তেল, নারকেল, পানি বা চিতুয়া, গড়গড়িয়া, ও দুধ পিঠা। এই ধরনের পিঠার সমাহার এ সব দোকানে। পঞ্চগড়-তেতুঁলিয়া সড়কে রয়েছে এই সব পিঠার একাধিক দোকান দুপুরের পর শুরু হয় পিঠা বিক্রি ধূম। পঞ্চগড় শহরের জেলা পরিষদ মার্কেট হিসেবে পরিচিত তার সামনে রয়েছে রয়েছে কয়েকটি পিঠার দোকান। এখানে কথা হয় পিঠার দোকান মালিক আবু বক্কর ও আশিকের সাথে। কথা বলতে গিয়ে দেখা যায় তাদের ব্যস্ততা। তিন থেকে চারটি চুলা জ্বলছে। পাশাপাশি তাদের দুটি দোকান। ফুসরত নেই ‘হাত চলছে। তবে ভাপাপিঠা ও পানি বা চিতুয়া পিঠার চাহিদা সবচেয়ে বেশী। শীতের আমেজে রোববার দেখা গেলো বিকেলে পিঠা বিক্রির ধুম। পিঠা তৈরী আর চুলায় দিতে দেরী সয়না অনেকের। একজন নারী এসে বললো ‘ আমাকে দশটি ভাপা পিঠা লাগবে ‘ তিনি বললেন তার বাসা কামাতপাড়া ‘ তার বাসার পাশেও দোকান আছে। এখন সাধারনত খেুঁজর গুড় আর নারকেল দিয়ে তৈরী হয় ভাপা পিঠা। আবু বক্কর ও আশিক জানায় বিক্রি বেশ ভালো। প্রায় তিন মাস হচ্ছে তারা এই পিঠার দোকান দিয়েছে। বিকেল তিনটা থেকে চলে রাত ১২ থেকে ১ টা পর্যন্ত।দিনের চেয়ে রাতেই বিক্রি হয় এই পিঠা। ১০ টাকা থেকে ৫ টাকায় বিক্রি হয় এই পিঠা। সরকারি অফিসার থেকে শুরু করে শিক্ষক শিক্ষার্থী সকল শ্রেণী পেশার মানুষ এখন এই পিঠা খেতে স্বাছন্দ্যবোধ করে। অনেকেই এই পিঠা খরিদ করে বাসায় নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খায়। এদিকে কেউ কেউ শহরের বিভিন্ন জায়গায় দোকানের নাম দিয়ে পিঠার দোকান খুলে বসেছে। শীতের আমেজে পিঠার স্বাদ নিতে এসব দোকানে ভীর বাড়ছে।