
মোঃ ইলিয়াস আলী, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে বাল্যবিয়েতে জড়িত থাকার অভিযোগে এক ইউনিয়ন পরিষদ( ইউপি) চেয়ারম্যান, কাজি ও স্থানীয় সাংবাদিকসহ নয়জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে তাদের জামিন আদেশ নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ঠাকুরগাঁও সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুর রহমান। একজন আসামি পলাতক থাকায় তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন বিচারক।
অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের আইনজীবী বকুল আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন-বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ছোট পলাশবাড়ী গ্রামের খাদেমুল ইসলামের মেয়ে রিতা আক্তার (১৯), তসলিম উদ্দিনের ছেলে বাবুল হোসেন (৪০), সদর উপজেলার পাহারভাঙ্গা গ্রামের মৃত আজগর কেরানীর ছেলে কাজী মো: আব্দুল কাদের (৫৫), ঠুমনিয়া গ্রামের কিসমত আলীর ছেলে আনছারুল (৩৫), লালাপুর গ্রামের মৃত হাসরত উদ্দিনের ছেলে দারাসতুল্লাহ মুুন্সি (৫৫), কাজিবস্তি গ্রামের মৃত আব্দুল বাশেদ মাস্টারের ছেলে সাংবাদিক আবুল কালাম আজাদ (৪২), মহিষমারী গ্রামের ইসারউদ্দিনের ছেলে ও দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: আব্দুস সালাম সহ ৯ জন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি একটি সালিশের মাধ্যমে বালিয়াডাঙ্গি উপজেলার চাড়োল ইউনিয়নের পলাশবাড়ী গ্রামের খাদেমুলের মেয়ের সঙ্গে একই গ্রামের মিজানুরের (২৬) বিয়ে হয়। পরে নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ের অভিযোগ এনে ঠাকুরগাঁও আদালতে ১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করে মিজানুর।
মামলার বাদী মিজানুর বলেন, সালিশের নামে অন্যায়ভাবে আমার বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যে মেয়েটির সঙ্গে আমার বিয়ে দেওয়া হয়েছে সে নাবালিকা। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।