প্রেম করে বিয়ে অতঃপর গোপন ছবি দিয়ে সাইবার ব্লাকমেইল

নিলা (ছদ্মনাম) প্রেমের সম্পর্কের একপর্যায়ে পালিয়ে বিয়ে করে প্রেমিক সাহেদকে। সংসার করে সাতদিন।এরপর পারিবারিক ভাবে জানাজানি হলে নিলাকে তাঁর পরিবার নিয়ে চলে যায় সাহেদের কাছ থেকে।

কেটে যায় ২ বছর। এর মাঝে নিলার সাথে কোনো যোগাযোগ ছিলো না সাহেদের।হঠাৎ একদিন নিলা সাহেদের সাথে যোগাযোগ করে। আবার শুরু হয় তাদের মাঝ পথে থেমে যাওয়া ভালোবাসার ইতি।ভিডিও কলে কথা হয় আপত্তিকর অবস্থায়,আদান-প্রদান হয় আপত্তিকর ছবিও।জানে না পরিবারের কেউ।

এরপর পারিবারিক ভাবেই তাদের দুজনের বিয়ে হয়।সংসার করে কিছুদিন। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস নিলা জানতোই না সাহেদ আগে থেকেই বিবাহিত। জানার পর সাহেদের সাথে তালাক হয়।নিলা চলে যায় নিজের পরিবারের কাছে।

পরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেয়া হয় রহিমের (ছদ্মনাম) সাথে। তাঁদের সংসার ভালোই চলছিলো।

কিন্তু একদিন নিলার প্রাক্তন স্বামী নিলাকে মেসেজ করে জানায় যে তাঁর আপত্তিকর ছবি গুলো সে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেবে,মেসেজ করে পাঠাবে তার মা-বাবার কাছে ও বর্তমান শশুর বাড়ির মানুষদের কাছেও।পাশাপাশি তাঁর স্বামীকেও ইমোতে প্রতিনিয়ত নানান হুমকি ও মানসিক চাপ দিচ্ছিলো সাহেদ। তাঁর একমাত্র উদ্দেশ্য নিলার সংসার ভেঙে দেয়া।স্বাভাবিক ভাবে বাঁচতে না দেয়া।

এর মাঝেই সাহেদ বেশ কয়েকজনকে ইমোতে মেসেজ করে আপত্তিকর ছবির স্ক্রিনশট পাঠিয়ে দিয়েছিলো পাশাপাশি নানা মিথ্যাচারও করেছিলো।শেষবার হুমকি দিলো সকাল হলেই ছবি গুলো দেখাবে নিলার বর্তমান স্বামী রহিমের কলিগদের।রহিম এই কথা জানতে পেরে বললো যদি এমনটা হয় তবে আমি আত্মহত্যা করবো!

নিলা কোনো কূলকিনারা পায়নি।অবশেষে নিলা আমার দারস্থ হন।জানান নানান আকুতি।সবশেষে একটাই পরামর্শ দিলাম যে,সকালেই থানায় গিয়ে জিডি করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য।আর ঠিক সকালেই নিলার বাবা উপস্থিত হন নিকটস্থ থানায় এবং বিস্তারিত জানান।কিন্তু পুলিশ প্রমাণ ছাড়া জিডি নিতে নারাজ! প্রমাণ নিলার ফোনে,আর নিলা অসুস্থ যার দরুন থানায় উপস্থিত হতে পারেননি।নানান আকুতি বিনতি শেষে নিলার বাবা বলেন একবার অভিযুক্তের সাথে কথা বলা যাক। যদি সে অপকর্ম বন্ধ করে তবে আমরা আর আইন ব্যস্ততা নেব না অন্যথায় কঠিন ব্যবস্থা নেবো।ফোন করা হয় অভিযুক্তের কাছে।কথা বলেন পুলিশ সদস্যরা।

অবশেষে অভিযুক্ত সাহেদ ভুল শিকার করেন এবং ক্ষমা চেয়ে বলেন তিনি এমন কাজ আর কখনো করবেন না। পুলিশ সদস্যরাও বলে যদি কথা বরখেলাপ হয় তবে আমরাই আপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

অবশেষে বেঁচে গেলো একটি প্রাণ,একটি সংসার ও একটি পরিবার।

তাই আর নয় চুপ থাকা, আওয়াজ তুলুন,অন্যায়ের প্রতিবাদ করুন। আপনার সাথে কোন অন্যায় অপরাধ ঘটে থাকলে অথবা কেউ আপনার প্রতি জুলুম অত্যাচার করলে নিকটস্থ থানায় অভিযোগ করুন অথবা আমাদের চ্যানেলের সাথে যোগাযোগ করুন যতটুকু সম্ভব আমরা আপনার পাশে দাঁড়াব ইনশাআল্লাহ।

বিঃদ্রঃ উপরোক্ত গল্পটি সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত একটি কাল্পনিক কাহিনী।

লেখকঃ রাকিবুল হাসান (মানবিক সাইবার যোদ্ধা)