
অন্তর আহম্মেদ ,নওগাঁ জেলা প্রতিনিধিঃ
লকডাউনে শ্রমিক সংকট ও অর্থ সংকটের কারণে আড়াই বিঘা জমির পাকা ধান কাটতে পারছিলেন না নওগাঁ উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের কৃষক আবুবকর সিদ্দিক । ক্ষেতেই ধান নষ্ট হওয়ার উপক্রম হচ্ছিল। খবর পেয়ে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান কিবরিয়া সেখানে ছুটে যান।
পৌর ছাত্রলীগের ২৫ জন নেতাকর্মী নিয়ে মঙ্গলবার সকালে থেকে কৃষক আবুবকর সিদ্দিকের আড়াই বিঘা জমির ধান কেটে মাড়াই করে দেন।
ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পাকা ধান কেটে দেয়ায় কৃষক আবুবকর সিদ্দিক অনেকটাই আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি বলেন,লকডাউনের মধ্যে ধান কাটার উপযুক্ত হয়। লকডাউনে শ্রমিক সংকটের কারণে পাকাধান কাটতে পারছিলাম না। এছাড়াও এলাকায় যে শ্রমিক পাওয়া যায় তাদের মজুরি খুব বেশি। ক্ষেতের ধান পাকার পরও তা কাটতে না পারায় কিছুটা ক্ষতির শঙ্কায় ছিলাম। আমার এমন অসহায়ত্বের কথা শুনে পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান কিবরিয়া সহ আরও নেতাকর্মী সঙ্গে নিয়ে এসে টাকা-পয়সা ছাড়াই আমার আড়াই বিঘা ক্ষেতের ধান কেটে দেন। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে আমার ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনও ভুলব না।
পৌর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রায়হান কিবরিয়া জানান, ধান কাটার প্রতি মৌসুমেই অন্য জেলা যেমন রংপুর ও কুড়িগ্রাম জেলাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা নওগাঁ ধান কাটতে আসেন। কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ঘোষিত লকডাউনে অন্য এলাকার শ্রমিক এখানে আসতে পারেননি। এদিকে কৃষক আবুবকর সিদ্দিক আড়াই বিঘা জমির পাকা ধান নিয়ে কাটতে না পেরে বিপাকে পড়েন। অসহায়ত্বের কথা শুনে পৌর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে তার ধান কেটে দিয়েছি। এ সংকটকালে প্রয়োজনে অন্যদের ধানও কেটে ঘরে তুলে দেবে পৌর ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পৌর ছাত্রলীগের নেতা, আলমগীর হোসেন জনি, সনি মন্ডল, ইমন হোসেন, তানভীর আহম্মেদ, শাকিল হোসেন, তৌহিদ আহম্মেদ, রিঙ্কু হোসেন, সুমন হোসেন প্রমুখ