
হরিপুর (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:
ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুষ্পসহ তিন জনের বিরুদ্ধে ভ্রুণ হত্যা (ভ্রুণ নষ্ট) করার অভিযোগে মিথ্যা মামলা দায়ের ও অপপ্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
হরিপুর উপজেলার নন্দগাঁও (মুন্সিপাড়া) গ্রামের মোস্তফার ছেলে রব্বানীর স্ত্রীর ভ্রুণ হত্যার (ভ্রুণ নষ্ট) করার অভিযোগে ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে হরিপুর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম পুষ্প বলেন,আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। মামলার বিবরণে ঘটনার তারিখ ও সময় উল্লেখ্য করা হয়েছে ১৮’জানুয়ারি রোজ সোমবার সেদিন আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না আমি হরিপুর ফুটবল একাদশ আয়োজিত ফাইনাল খেলার অতিথি হয়ে উপস্থিত ছিলাম আমার কাছে তার সমস্ত প্রমাণ আছে। বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের নির্দেশক্রমে হরিপুর থানা কর্তৃপক্ষ আমার বিরুদ্ধে গত ০১ অক্টোবর ২০২১ইং তারিখে মামলাটি রুজু করেন যার মামলা নং- ২ অথচ মামলায় ঘটনার বিবরণে তারিখ দেয়া আছে ১৮জানুয়ারি ২১ইং সোমবার। তাহলে বাদীপক্ষ এতদিন প্রায় ১০মাস পর্যন্ত মামলা করলোনা কেন এতেই প্রমাণ হয় যে মামলাটি সাজানো। এই মিথ্যা মামলা ও কিছু পত্রিকা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে আমি এগুলোর তিব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে তিনি আরও বলেন,সেই মহিলা দিলারা বেগমের ডাক্তারি প্রেসক্রিপশনে স্পষ্ট উল্লেখ্য আছে যে, উচ্চ রক্তচাপজনিত জটিলতার কারণে বাচ্চাটি মারা গেছে কোন প্রকার আঘাত বা আঘাতের চিহ্নের কথা সেখানে লেখা নেই। এ বিষয়ে মিথ্যা মামলা কেন দিলেন মামলার বাদী গোলাম রব্বানী ও তার পিতা মোস্তফাকে প্রশ্ন করলে তারা বলেন, আমরা পুষ্প চেয়ারম্যানেরই লোক আমাদের ২০শতক জমি তার কারনে বেদখল রয়েছে। তাই আমরা তার বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যা মামলা দিয়েছি দেখি কোর্ট কি করে। সত্য মিথ্যা সেখানেই প্রমাণ হবে। এ বিষয়ে হরিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম জানান, মামলা রুজু হয়েছে। ঠাকুরগাঁও বিজ্ঞ অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতে নির্দেশক্রমে দিলারা নামে এক গৃহবধুকে মারপিট শ্লীলতাহানী ও গর্ভপাত করানোর মাধ্যমে শিশুর ভুমিষ্ঠ হওয়ার বাধাদানের অপরাধে ৩’জনকে আসামী করে মামলা রুজু করা হয়েছে।