
আছমা আক্তার আখি পঞ্চগড় প্রতিনিধি: (১৩ সেপ্টেম্বর) সোমবার, পঞ্চগড় শহরের প্রাণকেন্দ্র করতোয়া নদীর তীরে পৌর খাল পাড়া এলাকায় সরকার অনুমোদিত এক দেশী মদের দোকান রয়েছে। এখানে লাইসেন্সধারী মাদকসেবীদের কাছে মদ বিক্রির কথা থাকলেও নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সব বয়সিদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে মদ। চাহিদামত দেয়া হচ্ছে যে কোন ব্যক্তিকে মদ। মদ পেতে সহজলভ্য হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে মাদকাসক্তের সংখ্যা। স্থানীয়রা অতি দ্রুত লাইসেন্সের আড়ালে এই অবৈধ কারবার বন্ধের দাবি জানিয়েছে। জানা যায় ১৯৭৭-৭৮ সালে লাইন্সেস নিয়ে অর্জুন কুমার ভৌমিক এর প্রয়াত পিতা এই মদের দোকানটি চালু করেন। জেলায় মোট দেশী লাইসেন্সধারী মুসলমান ৪৩ ও অন্যান্য ধর্মের ২০৭ জন, মোট ক্রেতার সংখ্যা মাত্র ২৫০ জন। জন প্রতি মাসে সাড়ে আট লিটার মদ বরাদ্দ দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। গত আগষ্ট মাসে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে দুটি নিয়মিত মামলা ও ২৯ জনকে ভ্রম্যমান আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।এ সময় ১ কেজি ৫৮০গ্রাম গাঁজা ও ৪৬৩ নেশাজাতীয় ইনজেকশন জব্দ করা হয়। এদিকে জেলা পুলিশ পঞ্চগড় জেলায় ১৫ টি মামলা দায়ের করে,সাত কেজি ৩০০ গ্রাম গাঁজা, নয় লিটার মদ,১৬০ পিচ নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ও ১০গ্রাম হিরোইন জব্দ করেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উঠতি বয়সী যুবক সহ নানান শ্রেণী পেশার মানুষ এখানে মদ কিনতে আসে। লাইসেন্সধারীদের কাছে মদ বিক্রির কথা থাকলেও এখানে তা অমান্য করছে বিক্রেতা। নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক দুই ব্যক্তি জানান,তাদের কাছে কোনো লাইসেন্স নাই। এক লিটার মদ ৪০০ টাকা দিয়ে কিনেন তারা। টাকা দিলে যে কাউকেই মদ দেওয়া হয়। কোনো রকম বাধা বিঘ্ন ছাড়াই তারা মদ কিনেন। মদের দোকানের তত্বাবধায়ক অর্জুন কুমার ভৌমিক বলেন, লাইসেন্সধারী ব্যক্তি ছাড়া অন্যকারো কাছে মদ বিক্রি করা হয় না। এ বিষয়য়ে জেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে। পঞ্চগড় সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ আব্দুল লতিফ মিয়া বলেন, সরকার অনুমোদিত দোকানে মদ বিক্রি চলছে। সেখানে কে মদ কিনছে বা খাচ্ছে তা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর দেখবে। পঞ্চগড় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক জান্নাতুন নুরি বলেন, মাদ্রক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর এর অনুমতি নেই, এমন কোনো ব্যক্তির কাছে মদ বিক্রয় করা যাবে না। দেশীয় মদের দোকান যদি নিয়মের বাইরে কিছু হয় তদন্ত করে তা আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।