
আনোয়ার হোসেন আকাশ, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)থেকে: ঠাকুরগাওয়ের রানীশংকৈল উপজেলায় আসাদুল হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের দাবিতে মানববন্ধন হয়েছে। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রানীশংকৈল উপজেলা পরিষদের সামনে প্রায় ১ ঘন্টা ব্যাপী এই মানববন্ধন হয়। এতে নিহতের পরিবারের সদস্য, সামাজিক অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সহ এলাকাবাসী অংশ নেয়। মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য দেন, ঠাকুরগাঁও-৩ আসনের সাবেক এমপি ইয়াসিন আলী, জেলা ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম, ওয়ার্কাস পার্টির পীরগঞ্জ উপজেলা সভাপতি আবু জাহিদ জুয়েল, আওয়ামীলীগ নেতা খোরশেদ আলম মোল্লা, নারী নেত্রী কাজী সোনিয়া প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারে কাছে স্বারকলিপি দেওয়া হয়। এবিষয়ে রাণীশংকৈল থানা পরিদর্শক (ওসি) এসএম জাহিদ ইকবাল মুঠোফোনে বলেন আসাদুল হত্যাকান্ডে জড়িত আসামিদের সনাক্ত করে খুব শিঘ্রই গ্রেফতার করা হবে। খুনিদের ধরতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। উল্লেখ্য, জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার বীরহলি গুড়িয়াপাড়া গ্রামের জুমার উদ্দীনের ছেলে আসাদুলকে গত ৪ আগষ্ট রাতে জবাই করে হত্যার পর পাশ্ববর্তী রাণীশংকৈল উপজেলার লেহেম্বা ইউনিয়নে পকম্বা গ্রামের একটি ব্রীজের নিচে ধান ক্ষেতে ক্ষতবিক্ষত মরদেহ ফেলে রাখে খুনিরা। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়-সেদিন বিকেলে বন্ধুর ডাকে বোনের বাড়ি থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরেনি আসাদুল । সেদিন রাতেই পকম্বা গ্রামের বড় বিল ব্রিজের নিচে পাওয়া গেছে ক্ষত-বিক্ষত লাশ। নিহতের বোন বিলকিস আকতার জানান, সেদিন বিকেলে আমার মাকে নেওয়ার জন্য আসাদুল আমাদের বাড়িতে আসে। কিন্তু হঠাৎ বন্ধুর ফোন পেয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে সে আর বাড়ি ফেরেনি। সন্ধ্যায় তার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তাকে আর পাওয়া যায়নি। স্থানীয় কিছু জেলে বড় বিলে মাছ ধরতে গেলে লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। রাতেই পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরদিন বৃহস্পতিবার ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, সহকারি পুলিশ সুপার রাণীশংকৈল সার্কেল তোফাজ্জল হোসেন, থানা পরিদর্শক (ওসি) এস এস জাহিদ ইকবাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় রাণীশংকৈল থানায় হত্যা মামলা হলেও একমাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।