
মোঃ ইলিয়াস আলী, নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে তাপমাত্রা যেমন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে তেমনি বাড়ছে তরমুজের দাম। কেজি প্রতি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর খুচরা দোকানে প্রতি কেজি চালও একই দামে বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, হঠাৎ করেই বালিয়াডাঙ্গীতে তরমুজের দাম বেড়ে গেছে। কিন্তুু তরমুজ বেপারীরা ক্ষেত থেকে তরমুজ কিনে নিয়ে আসে পিচ হিসাবে আর বাজারে বিক্রি করছে কেজি হিসাবে।
গ্রীষ্মের তীব্র গরমে হাঁসফাঁস করছে উপজেলার মানুষ। দাবদাহ থেকে সামান্য পরিত্রাণ পেতে ইফতারে ধর্মপ্রাণ রোজাদাররা তাই তরমুজ খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু আকাশ ছোঁয়া দামের কারণে এখন আর তরমুজের স্বাদ নিতে পারছেন না নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা। এরই মধ্যে তরমুজের দাম সাধারণ ক্রেতাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে গেছে।
অভিযোগ উঠেছে- সিন্ডিকেট করে তরমুজ ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো তরমুজের দাম বাড়িয়েছে। সরবরাহ থাকলেও সংকটের কথা বলে তরমুজের দাম বেশি নিচ্ছেন।
তরমুজ কিনতে আসা রফিকুল ইসলাম বলেন, এক কেজি চাল কিনতে লাগছে ৬০ টাকা। আর এক কেজি তরমুজও কিনতে হচ্ছে ৬০ টাকা। যা সবার পক্ষে কেনা সম্ভব নয়।
তরমুজ বিক্রেতা রেজাউল করিম বলেন, তাপদাহে বর্তমানে বাজারে তরমুজের চাহিদা বেশি। আর চাহিদার তুলনায় আমদানি কম, এ জন্য তরমুজের দাম অনেক বেশি। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
এখানে অভিযোগ উঠেছে প্রতি পিচ তরমুজ ৫০-৬০ টাকায় কিনে তা বাজারে নিয়ে বেপারীরা কেজি বিক্রি করতেছে ৬০ টাকা, এতে উক্ত তরমুুুুজের দাম দাড়ায় ২৫০-৫০০টাকা। প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চাইছেন সাধারন জনগন।
এ বিষয়ে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যোবায়ের হোসেন এর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমরা এখনও বাজার মনিটরিং করিনি৷ বাজার মনিটরিং করে বিষয়টি দেখবো ৷