রূপসায় মন্দির ও বাড়ী ভাংচুরের ঘটনায় মাননীয় ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর পরিদর্শন ও চেক বিতরণ 

খুলনা থেকে-

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মো: ফরিদুল হক খান (এমপি) বলেছেন অপরাধী যেই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। শিয়ালীর ঘটনাটি রীতিমতো নিন্দানীয়, অমার্জনীয় এবং ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। তিনি বলেন বাংলাদেশে আগষ্ট মাস এলে স্বাধীনতার পরাজিত শক্তিরা মাথা তুলে দাড়ায়। তারা একের পর এক দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করতে চায়। কিন্তু বাংলার মাটিতে শেখ হাসিনা থাকতে তাদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হবে না। শিয়ালী ঘটনা সম্পর্কে তিনি আরো বলেন এখানে সকল ধর্মের মানুষ একে অপরের সাথে ভাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে আসছে। কিছু দুস্কৃতকারী দেশের সুনাম ও ঐতিহ্য নষ্ট করার মানষে এই ন্যাককার জনক ঘটনাটি ঘটিয়েছে। অতি দ্রæত ঘটনার মূলহোতা ও দোষী ব্যক্তিদের গ্রেফতার পূর্বক দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি আরো বলেন বিএনপি দেশের উন্নতি চাই না। তারা দেশকে বিদেশের কাছে অপমানিত করতে সদা প্রস্তুত থাকে। তাই বারবার নির্বাচনে বিএনপি কে এ দেশের জনতা বয়কট করেছে। তিনি গতকাল ১৯ আগষ্ট রূপসার শিয়ালী গ্রামে দুস্কৃতকারী কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের চেক বিতরণ ও মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। রূপসা উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো: মনিরুজ্জামান তালুকদার। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা-৫ আসনের সংসদ সদস্য সাবেক মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুস সালাম মূর্শেদী, খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আকতারুজ্জামান বাবু, হিন্দু কল্যান ট্রাস্ট্রের সহ সভাপতি মনোরঞ্জন শীল গোপাল (এমপি), খুলনা জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. সুজিত কুমার অধিকারী, হিন্দু কল্যান ট্রাস্টের ট্রাস্টী শ্যামল সরকার, কল্যান ট্রাস্ট্রের সচিব ড. দিলিপ কুমার ঘোষ, সহ সভাপতি সুব্রত পাল, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহাবুব হাসান। ক্ষতিগ্রস্থ ৪ টি মন্দিরে ২ লক্ষ টাকা এবং ৯ জন ক্ষতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে ৯০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়।