আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই,আমি ধনী হতে চাই না:ডিসি শামীম আহমেদ

রাশিদুল ইসলাম,(নাটোর) প্রতিনিধিঃ মাত্র দেড় মাস হলো যোগ দিয়েছেন নিজ কার্যালয়ে।এরই মধ্যে মন জয় করে নিয়েছেন সকল শ্রেণীপেশার মানুষের। যোগদানের পর থেকেই নিজের কার্যালয়ের দরজা উন্মুক্ত করে দিয়েছেন জেলার সকল সাধারণ নাগরিকের জন্য। শিক্ষক-সাংবাদিক থেকে শুরু করে খেটে খাওয়া দিনমজুর- সবার জন্যই যেন তাঁর আন্তরিকতার শেষ নেই!এমন এক মহানুভব ব্যক্তিতর নাম নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ। গত রবিবার নাটোরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণের এক অনুষ্ঠানে এসে কয়েকজন বয়স্ক মানুষকে হাতে ধরে রিকশায় তুলে দিয়ে স্থানীয়দের প্রশংসা কুড়ান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।নিজের পকেট থেকে দিয়েছেন ভ্যান ভাড়াও।তাঁর এমন আন্তরিকতা ও মহানুভবতা দেখে চোখ ভিজিয়েছেন অসহায় বৃদ্ধরা, আর তিনি কুড়িয়েছেন সকলের প্রশংসা। নতুন জেলা প্রশাসককে পেয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান, নাটোরে এবার নিয়োগ পাওয়া ডিসি খুবই আন্তরিক।সকল পেশার মানুষের প্রতিই তাঁর অগাধ ভালোবাসা কাজ করে। জনগণের যেকোনো সমস্যায় ডিসি সরাসরি তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। রবিবার নাটোর সদর উপজেলায় শুভসংঘের খাদ্যসামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমে উপস্থিত হয়ে ডিসি শামীম আহমেদ বলেন, আমি দেড় মাস হলো আপনাদের জেলা প্রশাসক হয়েছি। আপনাদের যেকোনো সমস্যায় আমাকে জানাবেন। আমার কার্যালয়ে ঢুকতে পারবেন না এমন অবস্থা নেই। আপনাদের জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা। আমার বলা আছে, এখানে অনেকেই আসবে কিন্তু যারা সাধারণ মানুষ তারা সবার আগে ঢোকার সুযোগ পাবে। আপনারা পরিচয় দিয়ে আমার কার্যালয়ে আসবেন। আপনাদের বিভিন্ন সমস্যা থাকতে পারে। আমি চেষ্টা করব আপনাদের পাশে থাকতে। স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে এক আলাপচারিতায় শামীম আহমেদ বলেন, আমি খুব নিম্নবিত্ত পরিবার থেকে উঠে এসেছি। আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি ধনী হতে চাই না। আমার বাবা-মায়ের নির্দেশ আমি নাটোরে জেলা প্রশাসক হিসেবে কাজ করব। ওনারা এখানে এসে যদি শুনতে পান- খারাপ কিছু আমি করেছি, মানুষের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ কিংবা ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছি। তাহলে ওনারা স্পষ্ট করে বলেছেন, গাড়ি নিয়ে আমার বাবা-মা নাটোর থেকে ফিরে আসবেন। আমার এখানে আর কখনো আসবেন না। তাই আমার চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। তিনি আরো বলেন,২৪ ব্যাচের বিসিএস দিয়ে যে ১০ জন ডিসি হয়েছেন তার মধ্যে আমি একজন। তাই আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। জনগণের সেবা করার জন্য সরকার আমাকে এখানে নিয়োগ দিয়েছে। আমার সর্বাত্মক চেষ্টায় জনগণের সেবা নিশ্চিত করতে চাই। এ ক্ষেত্রে আমি সকল মহলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।