
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রমিকদের প্রনোদনার টাকা নিয়ে মিথ্যাচারসহ অসংখ্য অভিযোগ সাবেক সভাপতি সুজন আলীর বিরুদ্ধে।
এ সব অভিযোগ আনয়ন করে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন ঠাকুরগাঁও ট্রাক ট্যাংলড়ী, পিকআপ ও কভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নুদ্দীন।
এ সময় লিখিত বক্তব্যে জয়নুদ্দীন বলেন আমরা পাঁচটি বিষয়ে কথা বলার জন্যেই আজকের এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করেছি।
তিনি লিখিত বক্তব্যের সারাংশ হিসেবে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সংগে জড়িত করে আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ
শ্রমিকরা শতভাগ প্রনোদনার টাকা না পাওয়া সত্বেও শ্রমিকরা শতভাগ টাকা পেয়েছে এ মিথ্যাচারের প্রতিবাদ ৷
বিভিন্ন মহলে আমাদেরকে বিদায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বলে হেয় প্রতিপন্ন করার প্রতিবাদ ৷
অবৈধভাবে ও ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসার অপচেস্টার প্রতিবাদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যাপারে ইতোপূর্বে আপত্তিকর মন্তব্য করায় এর প্রতিবাদে এ সাংবাদিক সম্মেলন।
তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, সংগঠনের সাবেক সভাপতি মো.সুজন আলী সব সময় সংগঠন ও সংগঠনের শ্রমিকদের স্বার্থ পরিপন্থি কাজের সংগে জড়িত।সংগঠনের ভাবমুর্তি নস্ট করার ষড়যন্তের সংগে জড়িত সে।
শ্রমিকদের জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রনোদনার টাকা কিছু শ্রমিক পেলেও অধিকাংশ শ্রমিক এখনো পায়নি। যারা প্রনোদনার টাকা পাননি তাদের নামের তালিকা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে পুনরায় পাঠানো হয়। এটি শুনে সাবেক সভাপতি সুজন আলী বিভিন্ন দপ্তরে এই মর্মে দরখাস্ত প্রেরণ করেন যে,ঠাকুরগাওয়ের শতভাগ শ্রমিক প্রনোদনার টাকা পেয়েছেন। এটি তার ষড়যন্ত্রের একটি অংশ এবং শ্রমিকদের হক নস্টের অপচেস্টা।
তিনি আরো বলেন, ইতোপূর্বে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ব্যপারে আপত্তিকর কথা বলায় সে সময় সুজন আলীর বিরুদ্ধে একটি অনলাইন পত্রিকা একটি সংবাদ প্রকাশ করে। সুজন আলী প্রধানমন্ত্রীর ব্যপারে মন্তব্য করায় আমাদের সংগঠনকে ক্ষতির মুখে ফেলে দেওয়া হয়েছে।
এছাড়াও সুজন আলী ষড়যন্তের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসার অপচেস্টায় লিপ্ত রয়েছে। যাতে ভোট না হয় সংগঠনের বিরুদ্ধে এমন ষড়যন্ত করেই চলেছেন। এরই প্রতিবাদে আজকের এ সাংবাদিক সম্মেলন।
গত বৃহস্পতিবার শহরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় জনুদ্দিনের অফিস কার্যালয়ে এ সাংবাদিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংগঠনের বর্তমান সভাপতি জনয়নুদ্দিন আরো বলেন, প্রকৃতপক্ষে পুরো জেলায় সংগঠনের ১১ হাজার শ্রমিকের বিপরীতে এ পর্যন্ত মাত্র ২হাজার ৫শ শ্রমিক প্রনোদনার টাকা পেয়েছেন। এছাড়াও সম্প্রতি ১ হাজার ৩৮৪ জন শ্রমিকের নামের তালিকা ইউএনও’র মাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রংপুর বিভাগীয় কমিটির কাছে প্রেরন করা হয়েছে।এরই মধ্যে সুজন আলী ষড়যন্ত শুরু করেছে যাতে এ শ্রমিকরা প্রনোদনার টাকা না পান।
এ সময় সভাপতি জয়নুদ্দিন,পরিমানে স্বল্প সংখ্যক শ্রমিক হলেও প্রনোদনার টাকা পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে।
বর্তমান সভাপতি জয়নুদ্দীন ও সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবিকে বিদায়ী বলে অপপ্রচারের প্রতিবাদে তিনি শ্রম আইনের ধারা উল্লেখ করে বলেন, কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অনুরুপ কোন কারণে ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ২ বছর বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের ক্ষেত্রে ৩ বছরের মধ্যে নির্বাচন না হলেও ওই কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করা যাবে না। কিন্তু সুজন আলী সর্বশেষ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিদায়ী , বিদায়ী উল্লেখ করে মান হানিকর অপরাধ করছেন।
এ অবস্থায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি সুজন আলীর মিথ্যাচার, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছাড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দুলাল ঘোষ,সংগঠনের উপদেস্টা রমেশ চন্দ্রসহ বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে ঠাকুরগাঁওয়ের অনলাইন,প্রিন্ট ও টেলিভিশনের সাংবাদিক ও সংবাদকর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।