
আবদুল্লাহ আল নোমান, নিজস্ব প্রতিনিধি :-
ঠাকুরগাঁওয়ের রুহিয়ায় গরীবের মুখে ত্রাণের কথা বলায় ইউপি সদস্য কর্তৃক মারধরের শিকার হয়েছে ইসলাম উদ্দিন (৬৩) ও তার ছেলে মোস্তফা (২৩) নামে দুই ব্যক্তি।
বুধবার (২৮ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টায় রুহিয়া থানাধীন ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন ইউপি ভবনের সামনে এক চা দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, ২০ নং রুহিয়া পশ্চিম ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিন ও বলমর্থ নামে দুই ব্যক্তি ইউপি ভবনের সামনে এক চা দোকানে কথা ছিলেন “আমি একজন গরীব মানুষ অথচ সরকারি কোন সাহায্য পাই না। সরকার তো গরীবদের জন্য অনেক কিছুই দিচ্ছে। আর মেম্বারের কাছে গেলে বলেন কিছুই আসেনি”। এ কথা শুনে গ্রাম পুলিশ বলাই চন্দ্র মুঠোফোনে ইউপি সদস্য বিশ্বনাথ কে এসব কথা বললে তিনি ঘটনা স্থানে এসে বৃদ্ধ ইসলাম উদ্দিন কে বেধরক মারধর করেন। এক পর্যায়ে বৃদ্ধ ইসলাম মাটিতে পড়ে গেলে তার ছেলে মোস্তাফা এগিয়ে আসলে গ্রামপুলিশ ও মেম্বারের বাহিনী তাকেও মারধর করে। পরে স্থানীয়রা বৃদ্ধ ইসলাম উদ্দীন ও তার ছেলেকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়।
ভুক্তভোগী ইসলাম উদ্দিন জানান, আমি বলমর্থ সহ দু’জনেই চা দোকানে বসে নিজেদের মধ্যেই কথা বলছিলাম যে সরকার গরীবদের জন্য এত কিছু করছে কিন্তু আমাদের মেম্বাররা বলে কিছুই আসেনি। আর চেয়ারম্যানকে বললে তিনি বলে এখম সব শেষ। এই কথাকেই কেন্দ্র করে আমার গালে থাপ্পর বসাইল ইউপি সদস্য। এ ব্যপারে ইউপি সদস্য বিশ্বনাথ বলেন, ইসলাম উদ্দিন আমাকে ও চেয়ারম্যান কে নিয়ে খারাপ ভাষায় গালিগালাজ করে একথা শুনে গ্রাম পুলিশ বলাই আমাকে বলেন। আমি তখন চেয়ারম্যান কে বিষয়টা জানালে তিনি আমাকে বলেন ঐ বৃদ্ধকে ২/৪ টা চড় থাপ্পড় দেওয়ার হুকুম দেন এবং বলেন প্রয়োজনে আমি পুলিশ পাঠাচ্ছি।
অন্যদিকে ইউপি চেয়ারম্যান অনিল কুমার সেন জানান, বৃদ্ধকে মারপিটের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
রুহিয়া থানার ওসি চিত্যরঞ্জন কুমার রায় জানান, ইউপি সদস্য এক বৃদ্ধকে মারধর করেছেন এটা শুনেছি। তবে এই বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি।