
নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ-
পেশায় কিছু করেননা তিনি। অথচ যখন কেউ ফোনে কথা বলে অথবা অনলাইনে নক দেই তখন নিজের পরিচয় দেন একজন সিআইডির সদস্য হিসেবে। মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে নিজের মাথার অংশ সিআইডি ও সেনাবাহিনীর পোশাকে লাগিয়ে ভূয়া সদস্য সেজে প্রতারণা করে আসছেন দীর্ঘদিন থেকে।
বাসায় রয়েছে স্ত্রী ও কন্যা সন্তান তবুও ভূয়া সিআইডি সেজে নিজেকে সরকারি কর্মচারী পরিচয় দিয়ে এবং প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের সাথে প্রতারণা করে আসছেন রনি। রনি ইসলাম ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার ৭ নং রাতোর ইউনিয়েনের মালিভিটার স্থানীয় গ্রাম পুলিশ সিরাজ উদ্দীনের বড় ছেলে৷
সম্প্রতি রনি আক্তার নামে এক মেয়ে নিজেকে সরকারি কর্মচারী পরিচয় দিয়ে গোপনে বিয়ে করেছেন তিনি।
আর হাতিয়ে নিয়েছেন সেই পরিবারের কাছ থেকে প্রায় তিন লক্ষাধিক টাকা।
বড় স্ত্রী লিপি বেগম জানান,রনি ইসলাম দীর্ঘদিন থেকে এসবের সাথে জড়িত। আমি বাধা দেওয়ার কারনে আমাকে নানাভাবে নির্যাতন করে সে। এবং যৌতুকের টাকার জন্য আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় এবং শারীরিক নির্যাতন করে।
আমি রাণীশংকৈল থানায় একটি সাধারণত ডায়েরী করেছি। খুব শীঘ্রই আইনের পুরে আশ্রয় নিব।
আমি পারিবারিক ভাবে খুব অসহায়ত্ব বোধ করছি। আমার কিছু হয়ে গেলে এর জন্য দায়ী আমার শশুর সিরাজ,শাশুড়ী হাসেনা বেগম ও স্বামী রনি ইসলাম । তাদের প্ররোচনায় এইরকম কাজগুলো করার সাহস পায় সে। এইরকম প্রতারক ও নারী নির্যাতন কারী রনি ও তার পরিবারের দ্রুত আইনের মাধ্যমে সর্বোচ্চ বিচার দাবি করছি। যাতে করে আর কোন বোনের জীবন নষ্ট না হয়।
মুঠোফোনে রনি ইসলাম এর সাথে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি৷
তবে তার গোপনে বিয়ে ও নারী নির্যাতন এর সকল তথ্য সংরক্ষিত আছে৷