বালিয়াডাঙ্গীর ভানোরে ধান রোপন করা ক্ষেত নষ্টের অভিযোগ

আনোয়ার হোসেন আকাশ,নিজস্ব প্রতিনিধি :

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে বিবাদমান জমি দখল নিতে ধান রোপন ক্ষেত ট্রাক্টর/ মাহেন্দ্র দিয়ে নষ্ট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

সোমবার ও মঙ্গলবার (২৬ জুলাই ও ৩ আগস্ট ) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের ধনিবস্তী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বালিয়াডাঙ্গী থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বিবাদমান জমির মালিক তাসাদুজ্জামান।

আসামিরা হলেন- (১) সাইফুল ইসলাম, (২) পয়গাম আলী, (৩) এলাজ উদ্দীন, (৪) ইশাহক আলী, (৫) হায়দার আলী, ও (৬) ফরহাদ ৷

অভিযোগ পেয়ে বুধবার( ৪ আগস্ট ) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তাসাদুজ্জামানের রোপিত প্রায় ২৫ শতক জমিতে রোপণ করা ধান ক্ষেত ট্রাক্টরের হাল দিয়ে নষ্ট করা হয়েছে।

তাসাদুজ্জামান অভিযোগ করে জানান, পৈত্রিক সূত্রে আমার দাদা মৃত্যুবরণ করিলে ১৩৩১ খতিয়ানে আমার বাবা মালিক হইতেছে এবং দীর্ঘদিন যাবৎ ৪৯৮০,৪৯৮৩ ও ৪৯০৩ দাগের মালিক হইতেছে ৷ দীর্ঘদিন যাবত ভোগ দখলদারী অবস্থায় আছি ৷ ৪৯৮০ ও ৪৯৮৩ নং দাগে ২৫ শতক জমিতে ২৬ জুলাই ধান ক্ষেত লাগাই ৷ বিবাদীরা আমার অনুপস্থিতিতে অনধিকার প্রবেশ করিয়া মহেন্দ্র দিয়ে হালচাষ করে ধান ক্ষেত নষ্ট করিয়া দেয় ৷ আবারো ২ আগস্ট ধান (রোপা) লাগালে ৩ আগস্ট আবারো সাইফুল ইসলামসহ উক্ত আসামীদের সাথে নিয়ে ভাড়া করা গুণ্ডাদের উপস্থিতিতে মহেন্দ্র দিয়ে হালচাষ করে আমার ধান ক্ষেত নষ্ট করেছে তারা।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার সময় আমি প্রতিবাদ করিলে দেশীয় অস্ত্র দেখাইয়ে আমাকে প্রাণে মারার হুমকি দেয় ও আমার পরিবার সহ মেরে ফেলার দেওয়ার হুমকি দেয় ৷

প্রতিপক্ষ এলাজ উদ্দীন সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমরা কোন ক্ষেত নষ্ট করিনি ৷ এটা মিথ্যা অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে ৷

অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই মাইনুল বলেন, আমি গিয়ে দেখি রোপন ধানক্ষেতে চাষ দেওয়া আছে এবং আমি ছবি তুলে নিয়ে আসি ও মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত যেন জমিটা ঐভাবেই থাকে সেটা বলে আসি ৷ পরে জানতে পারি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলীর কাছে ২৯ জুলাই বাদী, বিবাদী শালিস বৈঠক বসতে চেয়েছে, শালিস বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা বাদী/বিবাদী আমাকে কিছুই জানায়নি ৷