
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
মামলার এজাহার, নিহত মায়মনি বেগমের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, প্রায় একযুগ আগে পার্শবর্তী বেলগাছা ইউনিয়নের বাসিন্দা পারিবারিক ভাবে মায়মনি বেগমকে আলাল মন্ডল বিয়ে করেন। আলাল মন্ডল এলাকায় মুদির দোকানের ব্যবসা করেন। ইতিমধ্য তাদের ৮বৎসরের পুত্র সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে স্বামী ও শাশুড়ি প্রায়ই মায়মনির ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতেন। নির্যাতন থেকে রক্ষা পেতে মায়মনি মাঝেমধ্যে বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে স্বামীকে দিতেন।
স্ত্রীর কাছে শ্বশুরবাড়ি থেকে যৌতুক এনে দেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন স্বামী। কিন্তু স্ত্রী স্বামীর দাবি অনুযায়ী যৌতুক এনে দিতে পারেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে স্বামী তাঁকে নির্যাতন করেন। ওই নির্যাতনে তিনি মারা গেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী ইউনিয়নের পূর্ব বামনা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মারা যাওয়া গৃহবধূ ওই গ্রামের আলাল মন্ডলের স্ত্রী মায়মনি বেগম (২৮)। এ ঘটনায় সোমবার রাতেই মায়মনি বেগম ভাই ইসলামপুর থানায় হত্যা মামলা করেছেন।
যৌতুকের দাবিতে আলাল মন্ডল ঘটনার দিন মারধর করেন। এতে মুন্নি অসুস্থ হয়ে পড়েন শশুর বাড়ীতেই মারা যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও লাশ উদ্ধার করেন।
এ ঘটনায় সোমবার রাত ১২টার দিকে নিহত মায়মনি বেগমের ভাই রহুল আজীম বাদী হয়ে আলাল মন্ডল ও শাশুড়িকে আমেনা বেগমকে আসামি করে মামলা করেন।
ইসলামপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো.সুমন মিয়া জানান- এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হয়েছে। স্বামীকে তাৎক্ষনিক আটক করা হয়েছে। শাশুড়িকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।