
সোহেল রানা,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি:-
করোনাভাইরাসরে র্ঊধ্বমুখী সংক্রমণ ও মৃত্যু নয়িন্ত্রণে দশেজুড়ে চৌদ্দদিনের জন্য কঠোর লকডাউন জারি করেছে সরকার। যা চলবে আগামী ৫ আগষ্ট মধ্য রাত পর্যন্ত।
সরকার ঘোষিত লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে রয়েছে মুক্তাগাছা উপজেলার পুলিশ প্রশাসন। সকাল থেকেই রাস্তাঘাটে জনসাধারণের উপস্থিতি অনেকাংশেই কম দেখা গেছে।
লকডাউনের ২য় দিনে উপজেলার চেচুয়া বাজার, মানকোন, ভাবকীর মোড় পৌরসভা এলাকার কয়েকটি সড়ক ঘুরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর অবস্থানের চিত্র দেখা মেলে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) মাসুদ রানার নেতৃত্বে,উপজলো নির্বাহী অফিসার, আবদুল্লাহ আল মনসুর ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ দুলাল আকন্দ-এর উপস্থিতিতে সকাল থেকে শহরের বিভিন্ন এলাকায় কঠোর অবস্থানে রয়েছে উপজেলা পুলিশ-প্রশাসন।
শহরের মোড়ে মোড়ে দাঁড়িয়ে থেকে অভিযান পরিচালনা করছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় কাউকে থাকতে দেওয়া হচ্ছে না। সড়কে থামিয়ে কোথায় যাচ্ছেন, কেন যাচ্ছেন – এমন নানা প্রশ্নের যৌক্তিক জবাব দিতে পারলেই সাধারণ মানুষকে গন্তব্যে যেতে দেওয়া হচ্ছে। সদুত্তর না পেলে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে সবাইকে। তাছাড়াও মাক্স পরিধান না করা,স্বাস্থ্যবিধি ও আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে, দেওয়া হচ্ছে মামলা, করা হচ্ছে অর্থদণ্ড। রাস্তায় কোন ধরনের গণপরিবহন চলছে না।
বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলায় ১৪ টি মামলায় ৩০জনকে ৬৩৯০ টাকা জরিমানা করেছ ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার(ভূমি) মাসুদ রানা দেশান্তর কে জানান, সরকার ঘোষিত লকডাউন নিশ্চিত করতে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার পাশাপাশি বিনা প্রয়োজনে ঘর থেকে বাহিরে না আসার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মনসুর দেশান্তরকে বলেন,বিধি নিষেধ উপেক্ষা করায় এ পর্যন্ত ১৪ টি মামলায় ৩০ জনকে ৬৩৯০ জরিমানা করা হয়েছে। আসলে জরিমানা আদায় করা আমাদের মুখ্য বিষয় নয়, আমরা সব সময় জনসাধারণকে নিয়মিত মাস্ক পরিধান করতে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে উৎসাহিত করছি এবং প্রয়োজন ছাড়া ঘরে অবস্থান করার ব্যাপারে বিশেষভাবে গুরুত্বারোপ করা হচ্ছে। যাদের মাস্ক নাই, তাদেরকে আমরা বিনামূল্যে মাক্স দিচ্ছি।