
রাশিদুল ইসলাম,(নাটোর) প্রতিনিধিঃ পরিবারে অভাব অনটন চলছে । তার ওপর ক্ষুধার জ্বালা। আত্বসম্মানের ভয়ে অন্যের কাছে হাতপাততে সংকোচবোধ হয়। তার পরেও বেঁচে থাকার লড়াই । আত্বসম্মানের দিকটা না দেখে জাতীয় তথ্যসেবা নম্বর ৩৩৩-এ ফোন করেন নাজুয়ারা। এ গল্প শুধু নাজুয়ারার একার নয় সমাজের পিছিয়ে পরা হতদরিদ্র পরিবার গুলোর ।৩৩৩ এ ফোন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই মোবাইল ফোনে (এস,এম,এস) পেয়ে যাচাই করে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসামগ্রী উপহার নিয়ে নিয়ে হাজির হন পরিবার গুলোর বাড়িতে গুরুদাসপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তমাল হোসেন। উপজেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, গত ৬, দিনে গুরুদাসপুর পৌরসভাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে ৩৩৬,টি পরিবার ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে খাদ্যসহায়তা চেয়েছিল। ইউএনও মোঃ তমাল হোসেন মোবাইল ফোনে (এস,এম,এস) -এর মাধ্যমে জানতে পেরে খোঁজ-খবর নিয়ে, পৌরসভাসহ উপজেলার সকল ইউনিয়নগুলোতে ৩৩৬, টি পরিবারই খাদ্য সহায়তা পেয়েছেন। ৩৩৬টি পরিবারের মধ্যে শুধু বুধবার মোবাইল ফোনে (এস,এম,এস)-এর মাধ্যমে জানতে পেরেছেন (ইউএনও) ১০৪, টি পরিবার খাদ্য সহায়তা চেয়েছেন,সেসব পরিবারগুলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা পৌছানো হয়েছে। দিন যত যাচ্ছে মোবাইলে (এস,এম,এস)ও ততটাই বাড়ছে। ফোনকল বেড়ে গেলে উপজেলা প্রশাসনের বাছাই করা স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব দেওয়া হয় (এস,এম,এস) এন্ট্রি করার জন্য। পর্যায়ক্রমে তালিকা ধরে তাঁর নেতৃত্বে যাচাই করে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এসব পরিবারে। পরিবারগুলোকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসহায়তা তহবিল থেকে ১০ কেজি করে চাল, সঙ্গে ডাল ও তেলসহ খাদ্যসামগ্রীর প্যাকেট পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। ইউএনও তমাল হোসেন বলেন, অতিবৃষ্টি ও করোনা পরিস্থিতিতে এসব পরিবারের কর্মক্ষম মানুষগুলো কাজে বের হতে পারেননি। তা ছাড়া সরকারের গৃহীত নানা কর্মসূচির সুযোগ-সুবিধা থেকেও তাঁরা বঞ্চিত। কর্মমুখী এসব পরিবারগুলো গরিব হলেও আত্মসম্মানের কারণে অন্যের কাছে হাত পাততে পারেননি। অনেকটা নিরুপায় হয়েই তাঁরা ৩৩৩ নম্বরে ফোন করে খাদ্যসহায়তা চেয়েছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে কিছু পরিবারকে অতি গোপনে ,রাতে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়। পরে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও উপজেলা প্রশাসনের স্বেচ্ছাসেবকদের মাধ্যমে খোঁজখবর নিয়ে পরিবারগুলোকে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন এ সকল কাজে সহকারী কমিশনার( ভূমি )মোঃ আবু রাসেল সব সময়ই পাশে থেকে সহযোগিতা করে আসছেন। তিনি আরো বলেন, মহামারী করোনার দ্বিতীয় ধাপের প্রথম দিন কমপক্ষে ১০টি ফোন পান তিনি। ফোনকল বেড়ে গেলে উপজেলা প্রশাসনের বাছাই করা স্বেচ্ছাসেবকদের দায়িত্ব দেওয়া হয় (এস,এম,এস) এন্ট্রি করার জন্য। প্রত্যক আবেদনকারীর নাম-ঠিকানা রেজিস্টার–ভুক্তির দায়িত্ব পালন করেছেন স্বেচ্ছাসেবকেরা। পর্যায়ক্রমে তালিকা ধরে তাঁর নেতৃত্বে যাচাই করে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে এসব পরিবারে। খাদ্যসহায়তা পাওয়া ব্যক্তিরা যাতে সামাজিকভাবে লজ্জায় না পড়েন, সে জন্য বেশির ভাগ সহায়তা রাতের অন্ধকারে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তবে অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থার কারণে অনেক পরিবারে দিনের বেলাতেও সতর্কতার সঙ্গে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা দেওয়ার সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করার কথা বলা হয়েছে। ৩৩৩-এ খাদ্যসহায়তা চাওয়া পরিবারগুলোকে সরকারের গৃহীত কর্মসূচির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।