রুহিয়ায় শাখা ব্যবস্থাপক এর নির্দেশনায় জোরপূর্বক কিস্তি আদায়

মোঃ আনোয়ার হোসেন রুহিয়া (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:– গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বৈশ্বিক দূর্যোগ (করোনা ভাইরাস) জনিত কারণে সার্বিক নিরাপত্তার স্বার্থে সরকারী বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষনা করলেও গরিব অসহায় মানুষদের কাছে চাপ দিয়ে জোড় পূর্বক টাকা আদায় করছেন রুহিয়া টিএমএস সহ বেশকিছু এনজিও। সরেজমিনে দেখা যায়, ২৮ জুন সোমবার রুহিয়া থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় টিএমএস, ব্রাক, ব‌্যুরো বাংলাদেশ আরডিআরএস ও ডিএফইডি সহ কয়েকটি এনজিও’র মাঠ কর্মী দেশের পুলিশ অাইনকে বৃদ্ধা আঙ্গুল দেখিয়ে স্বাস্থ‌্যবিধি না মেনে অসহায় ঋণগ্রহীতার কাছে চাপ দিয়ে কিস্তি আদায় করে চলছে। ঋণগ্রহীতা ফায়েজ আলী, ইয়াসমিন আক্তার সহ অনেকে বলেন, আমরা অসহায় ও দিনমজুর মানুষ, করোনা ভাইরাস এর কারণে গত বেশ কিছু দিন ধরে দোকান বন্ধ, দোকান ছাড়া আমাদের আর কোন আয় রোজগার নেই। বর্তমানে সন্তানদের নিয়ে দু বেলা ঠিকমত খেতে পারি না, এর মধ্যে আজকে আবার টিএমএস মাঠ অফিসার নুরে আলম স‌্যার কিস্তি জন‌্য জুলুম করেন। দুমকি হুমকি দিয়ে আমাকে পাশ বইটি নিয়ে আসতে বলে দেখার জন‌্য আমি বইটি হাতে দিতেই তিনি আমার জমানো সঞ্চয় থেকে কিস্তি টাকা কেটে নিয়েছে। টিএমএস মাঠ কর্মী নুরে আলম এই সময় প্রতিবেদক কে বলেন, আমার শাখা ব্যবস্থাপক এর নির্দেশনায় আমি কিস্তি আদায় করতে আসছি এতে আমার কোন অপরাধ নেই। এ বিষয় টিএমএস এর রুহিয়া ব্রাঞ্চের ম্যানেজার মনোরঞ্জন রায়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিস্তি আদায় বন্ধ এই রকম কোন নির্দেশনা আমার উর্ধতন কর্মকর্তা আমাকে ম্যাসেজ দেয়নি। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা প্রশাসন জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, করোনা ভাইরাস এর জন‌্য সকল সরকারী বেসরকারী আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে, কোন এনজিও প্রতিষ্ঠান জোরপূর্বক চাপদিয়ে কোন প্রকার কিস্তি নিতে পারবেনা। এরপরেও কেউ আদের্শ অমান‌্য করার অভিযোগ পেলে আইনগত ব‌্যবস্থ‌্য নিব।