
নিজস্ব প্রতিবেদক:-
ছোটবেলায় পড়েছি- ধান, নদী, খাল এই তিনে বরিশাল মিলেছে তারিই সাথে কাজ কর্মে আম জামে ফসলে ভরা ভরপুর আমাদের ঠাকুরগাঁও জেলার উপজেলা হরিপুর।
আর এখন একটি বিশেষ দিক লক্ষ করছি তা হলো- শাসন, শোষণ আর ভাষণ। আমরা বেশ পাকা এই তিনটি বিষয়ে। মজার ব্যাপার হলো- ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক অ্যালিয়ট জাকারবার্গ। তার এই সোশ্যাল মিডিয়া চালু হওয়ার পর ব্যাস হয়ে গেল, খেলা চলছে দেদারছে, আমাদের আদেশ-উপদেশ আর নির্দেশ দেয়ার ওপর। ভূরি ভূরি লেখক হয়েছে- পাঠক নেই। কথা আছে, কাজ নেই। তার পরও চুপ থাকা যাবে না ‘শো মাস্ট গো অন’। তাই আমি হাজির হয়েছি ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে একজন নেতার সন্ধানে।
নেতা কি বা কেমন হওয়া উচিত! নেতার জন্ম হয় নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে, আর নেতৃত্বের জন্ম হয় ঘটনার প্রেক্ষিতে। আর ঘটনার জন্ম হয় পরিবর্তনে। পরিবর্তন তা হলে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আমাদের সবার জন্য। পরিবর্তন কি তা হলে সময়ের সঙ্গে আবির্ভাব হয়? নাকি চাহিদা তা নির্ধারণ করে?পরিবর্তন হতে পারে অনেক প্রকার। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে নানা ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়ে বাধাবিঘ্নের সম্মুখীন হতে হয়, ঠিক তখন নেতৃত্বের আবির্ভাব থেকে নেতার হয় জন্ম। আমি মনে করি একজন ভালো নেতা হতে হলে প্রথমে তাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে। তার মধ্যে দায়িত্বশীলতা, দায়বদ্ধতা ও সততা থাকতে হবে।তার প্রতিশ্রুতি, ইতিবাচক মনোভাব, অনুপ্রেরণা, সহানুভূতি ও সৃজনশীলতার গুণাগুণের সঙ্গে থাকতে হবে প্রতিনিধিত্ব এবং আস্থা। এসব গুণাবলি খুবই দরকার একজন ভালো নেতার জন্য। আজ কিছুসংখ্যক নেতার কথা তুলে ধরব, যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন মানবজাতিকে বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্নভাবে আন্দোলিত করেছেন। যেমন-মাও সেতুং: কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না।মার্টিন লুথার কিং: আই হ্যাব এ ড্রিম।স্বামী বিবেকানন্দ: জেগে ওঠো, সচেতন হও এবং লক্ষ্যে না পৌঁছা পর্যন্ত থেমো না।মহাত্মা গান্ধী: অসহযোগ আন্দোলন।নেলসন ম্যান্ডেলা: বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন।বঙ্গবন্ধু: এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম।
পাঠক, আমি আজ ওপরের নেতাদের নয়, তুলে ধরব বঙ্গবন্ধুর আদর্শে গড়া এক ভিন্নধর্মী নেতাকে। এ ধরনের নেতারা মানবকল্যাণে এসেছেন যুগে যুগে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন সময়ে। আমি এ যুগের তেমন একজন ভিন্নধর্মী নেতাকে তুলে ধরব, যার নাম এ কে এম শামীম ফেরদৌস {টগর} সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও যাদুরাণী আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ।
তিনি কোনো দেশের নেতা নন, তিনি আমার নেতা, তিনি জ্ঞানভাণ্ডারের সমন্বয়ের নেতা তিনি ঠাকুরগাঁও জেলার তথা হরিপুরের খেঁটে-খাওয়া মেহনতি মানুষের নেতা হরিপুর তথা গোটা ঠাকুরগাঁও বাসীর প্রাণপুরুষ ও উন্নয়নের কাণ্ডারী জনাব শামীম ফেরদৌস সাহেব। তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের মহানও ত্যাগী নেতা। কারণ যুগে যুগে যেসব প্রযুক্তি আবিষ্কার হয়েছে, তা নিঃসন্দেহে মানবকল্যাণে প্রভাব বিস্তার করেছে পৃথিবীর শিল্প ও শিক্ষা প্রসারে।ঠিক তেমনি মানব উন্নয়নের ব্যাপারে তিনি সর্বক্ষণিক কাজ ও কর্মে চিন্তায় মগ্ন ঠাকুরগাঁও জেলার এই মহান নেতা।
রাজনৈতিক নেতাদের মতো এ প্রযুক্তির নেতারাও কর্মে বাধাবিঘ্ন এসেছে এবং তা সত্ত্বেও তিনি জয়ী হতে পেরেছেন কাজে ও কর্মের বিশ্বাসে।
কারণ তার কর্মে তিনি সার্থকতা আনতে পেরেছেন বিগত সব কাজের আত্মবিশ্বাসে। ওপরের যেসব নেতার নাম আমি তুলে ধরেছি, বেশিরভাগ নেতাই কিন্তু বিদ্রোহী ছিলেন।যা শামীম ফেরদৌসের মধ্যেও বিদ্রোহের ধরন রয়েছে, তবে তা কিছুটা ভিন্ন। কারণ এ কে এম শামীম ফেরদৌসও বিদ্রোহ করেছেন প্রযুক্তির সাথে তাল মিলিয়ে মেহনতি মানুষ ও মানবতার সেবায়।
ওপরের আলোচনায় পরিষ্কার যে নেতা গাছে ধরে না। নেতা হতে হলে মানুষের সুখ-দুঃখে তাদের পাশে থাকতে হয়। ডাক্তার দেখলে যেমন রোগী বেশিরভাগ সময় অর্ধেক সুস্থ হয়ে ওঠেন, ঠিক একজন ভালো নেতার সান্নিধ্যে মানুষ পায় স্বস্তি। আমরা যেমন সমস্যা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশের শিক্ষাজ্ঞনে এবং এর পেছনে যে রয়েছে অনেক কারণ তাও জানি বা দেখছি। মজার ব্যাপার তা হলো সমস্যা বেশ পরিষ্কার অথচ সমাধান নেই। তাহলে কি জেলা উপজেলায় ভালো নেতার অভাব? বাংলাদেশের সর্বস্তরে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষাব্যবস্থার এই দুঃসময়ে দরকার একজন আদর্শ নেতার এবং তার চিন্তার ভাণ্ডার থেকে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেয়া খুবই প্রয়োজন।
আমার বিশ্বাস প্রযুক্তিকে যেমন সমন্বয়ের মধ্যে এনে মনিটর করা সম্ভব হয়েছে, ঠিক একইভাবে সবস্তরে মানুষের জন্য উন্নয়ন ও শিক্ষা প্রশিক্ষণকে একত্রিত করে বিশেষায়িত শিক্ষা প্রশিক্ষণ বিশ্ববিদ্যালযের সমন্বয় ঘটিয়ে শিক্ষার ক্রমাগত উন্নতি করা সম্ভব।
তাই আমি আমার চিন্তাকে কাজে লাগাতে বারবার চেষ্টা করে চলেছি আমার লেখালেখির মধ্য দিয়ে এবং আশা করছি তা শুরু হবে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত জেলা উপজেলার গ্রাম উন্নয়ন দিয়েই। এ নিয়ে ভাবনা এবং সেই থেকে লেখালেখি। আমার এ মফস্বল এলাকা থেকে বসে শিক্ষা প্রশিক্ষণের ওপর লেখালেখি হয়তো কোনো এক সময় কোনো এক এমনি নেতার নজরে পড়বে এবং তখন হবে পরিবর্তন।
এখন প্রশ্ন- কলম চালিয়ে কি পরিবর্তন আনা সম্ভব? কলমের মধ্য দিয়ে কেউ কি পেরেছে পরিবর্তন আনতে? না। কারণ কলম নেতৃত্ব দেয় না, দেয় অনুপ্রেরণা। তাই আমি একজন নেতা খুঁজছি বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, কেউ কি দিতে পারবে তার সন্ধান? আমার প্রশ্ন- বাংলাদেশের মানুষের কাছে, কেউই কি নেই ১৭ কোটি মানুষের মাঝে যে উপযুক্ত সময়ে সঠিক মেসেজ নিয়ে হাজির হতে পারে দেশের স্বার্থে?
আমি খুঁজছি সেই নেতাকে যে নেতা হেয়ার অ্যান্ড নাউ কনসেপ্টে বিশ্বাসী। শিক্ষাঙ্গনে এখনও দেখা যাচ্ছে যারা নতুনত্বের জন্য নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন, তা তাদের জীবনের শেষ সময় বা মৃত্যুর পর। কিন্তু কেন? তা হলে যুগোপযোগী বা সময়োপযোগীভাবে আমরা কেউই কি পারব না সঠিক তথ্য সঠিক সময়ে মানুষের কল্যাণে পৌঁছাতে? তাই একজন নতুন এবং ভিন্নধর্মী নেতা চাই, যিনি সক্ষম হবে শিক্ষার পরিবর্তন,মেহনতি মানুষের ক্ষুধা ও উন্নয়ন ঘটাতে পারে মহান নেতা টগরের মতো করে।
বড় স্বাদ জেগেছে শুধু রাজনৈতিক নেতা নয়, নতুন বা পুরনো প্রজন্মের মধ্যে টগরের মতো নেতাদের দেখার, যে নেতারা পারবে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত মানুষের শিক্ষার পরিবর্তন আনতে এবং যা ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশের রোল মডেল হিসাবে।যিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা জন নেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে।
তাই আমি বিশ্বাস করি, বিশেষায়িত শিক্ষা প্রশিক্ষণকে। শিক্ষার সঙ্গে প্রযুক্তির সমন্বয় আরও ভালোভাবে ঘটিয়ে দ্রুতগতিতে দেশ ও জাতিকে এগিয়ে নিতে হবে এবং তার জন্য আমাদের সবাইকে একত্রে কাজ করতে হবে। সুশিক্ষায় গড়ে উঠবে আমাদের নতুন প্রজন্ম। জন্ম হবে নেতার, যে নেতার সংস্পর্শে সবাই কাজের সমন্বয়ে বড় হবে।
প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে একজন নতুন নেতার নেতৃত্বে গড়ে উঠুক সোনার বাংলা, গড়ে উঠুক পৃথিবীর সোনার প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলো।যার হৃদয়ে প্রতিধ্বনিত্ব হয়-সোনার বাংলার মানুষের মানব উন্নয়নে-তিনি হলেন ঠাকুরগাঁ জেলার হরিপুর বাসী-সবার প্রাণপুরুষ নেতা এ কে এম শামীম ফেরদৌস টগর।
ধন্যবাদ জানায় জনাব শামীম ফেরদৌস টগরকে কাঁর মুল্যবান সময় দেবার জন্য ।তিনি অল্প সময়ে সৌজন্য সাক্ষাতে যতটুকু রাজনৈতিক বনাম ঠাকুরগাঁও বাসী তথা হরিপুরবাসীর জন্য হৃদয় নিংড়ানো কথাগুলো যে ভাবে বললেন তা সত্যিই অনুধাবন করার মতো।এমন ত্যাগী নেতার গল্প সত্যি ভাবনার বিষয়
-লেখক, জসীম উদ্দিন জয়।